মাত্র চার ঘণ্টায় চাকরি পেলেন ১ হাজার বেকার যুবক। তাদের বেতনও কম নয়। ১২টি পদে নিয়োগ পাওয়া একেক জনের বেতন প্রতি মাসে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ চাকরির জন্য লাগেনি ব্যাংক ড্রাফট, করতে হয়নি লিখিত আবেদন। নেই পরীক্ষার ঝামেলাও।

কয়েক মিনিটের ভাইভায় যেন সোনার হরিণ মিলল বেকার যুবকদের। এতে উচ্ছ্বসিত তারা। স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের এ চাকরির মেলা বসেছিল রংপুরের তিস্তা নদী বেষ্টিত গঙ্গাচড়া উপজেলায়।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আয়োজিত চাকরি মেলায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, ইন্সপেকশন অফিসার, মনিটরিং অফিসার, সর্টিং হিরো, ডাটা এন্ট্রি, ড্রাইভার, হেল্পার, রাইডার এবং ওয়্যারহাউজ ম্যানেজমেন্ট এই ১২টি পদে তিন হাজার সিভি জমা হয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। এর মিনিট ৩০ পর শুরু হয় সাক্ষাৎকার পর্ব।

বিকেলের আগেই জানানো হয় সাক্ষাৎকার পর্বের ফলাফল। চাকরি পেয়ে খুশি হন প্রার্থীরা। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র হাতে নিয়ে মাসের পর মাস ঘুরেও যেখানে চাকরি পাওয়া দুষ্কর, সেখানে একদিনে চাকরি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত তারা।

চাকরি মেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে হবে যুবকদের। গঙ্গাচড়া থেকে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে জিয়ন সেই পথে হাঁটছেন। আজ তার প্রতিষ্ঠানে এক হাজার যুবকদের চাকরি দিয়ে যে মহানুভবতায় দেখালেন, তা মনে রাখবে তাদের পরিবারগুলো।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কে. এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন জানান, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার বেকার যুবকের চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি হবে কর্মীদের। এছাড়াও স্টেডফাস্ট একাডেমির মাধ্যমে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। খুব অল্প সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ৪৬০ শাখার মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কুরিয়ার সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না, স্টেডফাস্ট কুরিয়ারের উপদেষ্টা জুনায়েদ চৌধুরী, গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহমেদ লাল প্রমুখ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসকেডি