আজমিরীগঞ্জে ৪ হাজার হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্নস্থানের মতো হবিগঞ্জেও টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এরই মাঝে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে চলে গেছে। হাওর বেষ্টিত এই উপজেলায় পানি আরও বাড়ার শঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলায় ৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২৬০ হেক্টর নিমজ্জিত ও ১১০ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত, বদলপুর ইউনিয়নের ৯০০ হেক্টর নিমজ্জিত ও ১২০ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত, জলসুখা ইউনিয়নে ৯০০ হেক্টর ও ৯০০ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত, কাকাইলছেও ইউনিয়নে ৪৮০ হেক্টর নিমজ্জিত, শিবপাশা ইউনিয়নে ৩৭৫ হেক্টর নিমজ্জিত ৭৫ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিত ও পৌরসভায় ১১০ হেক্টর নিমজ্জিত ও ৫০ হেক্টর আংশিক নিমজ্জিতসহ মোট ৪ হাজার ২৮০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি বাড়তে থাকায় ফসলের চিন্তায় দিন পার করছেন উপজেলার হাজারও কৃষক। পাঁচ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় অর্ধেকেরও বেশি রোপা আমন তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, রোপা আমন আবাদের জন্য তারা লগ্নি করে অর্থ নিয়েছেন। যা ফসল তোলার পর শোধ করার চুক্তি ছিল। কিন্তু টানা বর্ষণে প্রতিটি কৃষকের ঘরে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
জলসুখা গ্রামের কৃষক বাহার মিয়া বলেন, তার প্রায় ১০ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তার পাশে এমন আরও কয়েকজন কৃষকের জমি তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লুৎফে আল মুঈজ বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মোতাবেক ৪ হাজার ২ শত ৮০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত ও আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে বলে সর্বশেষ তথ্য আমরা পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। পানি নামলে ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে।
আজহারুল মুরাদ/এমএএস