পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করেই নির্মাণ করা হয়েছে জামালপুরের ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়ক। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ধসে পড়েছে প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই মেরামতকাজ করার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনগণকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে ১৪ কিলোমিটারের ওই সড়কটির অর্ধশতাধিক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে চলাচলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে, ইট ও পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চনন্দপুর এলাকায় একাধিক স্থানে সড়কের প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে।

ইসলামপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ঝগড়ারচর বাজার পর্যন্ত পৌনে ১৪ কিলোমিটার পাকা সড়কটি ২০১৭ সালে নির্মিত হয়। এরপর ২০২০ সালের জুন মাসে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু এবং ২০২১ সালের মে মাসে কাজ সম্পন্ন হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৮ টাকা।

পোড়ারচর গ্রামের নুর মোহাম্মদ বলেন, সড়কে খানাখন্দে ভরা একটু বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। গত দুই দিনের বৃষ্টি সড়কে হাঁটু পানি পর্যন্ত জমে গেছে। এখন আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াসহ প্যালাসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ার বিষয়টি আমরা স্থানীয় এলজিইডি বিভাগকে জানিয়েছি।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, রাস্তার পাশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই সড়কে সৃষ্টি যেন না জলাবদ্ধতা না হয় সেই বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেবো।

রকিব হাসান নয়ন/এএএ