লালমনিরহাটের সদর উপজেলার হরিণচাড়ায় তিস্তা নদীর পানিতে ভেসে আসা অজ্ঞাত এক যুবকের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা মরদেহের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মরদেহটি ভেসে এসেছে।

এ নিয়ে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিস্তা নদী তীরবর্তী সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পাকারমাথা নামক স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তিস্তায় পানি কমতে শুরু করে। এতে মাছ ধরতে যান তিস্তা পাড়ের মানুষজন। পরে মরদেহটি ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তুষার কান্তি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিস্তা নদীর তীরে এক যুবকের মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যুবক ভারতের নাগরিক।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কিছামত ছাতনাই চর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের একজন। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি। এছাড়াও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানিতে ভেসে আসা একটি অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বর্ষণের কারণে লোনাক হ্রদ উপচেপড়ায় ওই অঞ্চলে বিপর্যয়কর বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সিকিমের বন্যার কারণে তিস্তার পানির স্তর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ ও প্রতিবেশী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার ঘোলা পানির ঘূর্ণিতে ভেসে আসছে মরদেহ, জুতো, জামাকাপড়, বাসনপত্র, গবাদি পশু থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএএ