সাভারের আশুলিয়ায় মা-বাবা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানায় নিহত বাবুল হোসনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক ফকিরবাড়ী মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে মা-বাবা ও ছেলেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির

উদ্দিনের ছেলে মুক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। স্ত্রী শাহিদা বেগমের বাড়ি রাজশাহী জেলায় বলে জানা গেছে। তারা ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। 

এসআই জোহাব আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে একটি ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষ থেকে একই পরিবারের মা-বাবা ও ছেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজ নিহত বাবুল হোসেনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মরদেহ তিনটি রাতেই রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের বিভিন্ন টিম ঘাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।

এর আগে গতকাল গভীর রাতে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবিব খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনা অত্যন্ত নিষ্ঠুর। আমরা ধারণা করছি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবো। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডির সদস্যরাও ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর