ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পরকীয়া প্রেমিকার বাড়ি থেকে আলমগীর বেপারী (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত আলমগীর বেপারী ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের মুকবুল বেপারীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ও আলমগীর বেপারী দুজনেই বিবাহিত। ওই নারীর স্বামী পেশায় একজন ফেরিওয়ালা। ওই নারীর সঙ্গে আলমগীরের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

শনিবার সকালে আলমগীর তার প্রেমিকার মুনসুরাবাদ গ্রামের আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ে করতে চাপ দেন। এ সময় প্রেমিকা তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান করেন আলমগীর। একপর্যায়ে প্রেমিকার বাড়ির বসতঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাওয়া যায়। এরপর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, আলমগীরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। আলমগীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহির হোসেন/আরএআর