রাতুলকে হত্যার পর লবণ দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয় : পুলিশ
পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরে নিখোঁজ রাতুলের (১০) মরদেহ উদ্ধার ও এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছোট আউলিয়াপুরের মফেজ মাতুব্বরের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও জৈনকাঠী ইউনিয়নের এনছান হাওলাদারের ছেলে মো. হানিফ হাওলাদার (৪১)।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ছোট আউলিয়াপুরের বাসিন্দা ও ডেকোরেটর সাউন্ড ব্যবসায়ী মো. গোলাম রহমান লিটনের ছেলে রাতুলকে সাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার (রাতুল) পরিবারের সকলকে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়াতে রাজি করায় আসামিরা। রাতুলও আসামিদের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী তার পরিবারকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। পরে আসামিরা রাতুলের সহযোগিতায় তার বসতঘর ও বসতঘর সংলগ্ন ডেকোরেটরের দোকানে থাকা মালামাল চুরি করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী নির্মূল করতে অপহরণের পর রাতুলকে হত্যা করে আসামিরা।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর রাতব্যাপী পটুয়াখালীর জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী এলাকা হতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, শিশু রাতুলের মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে পাঁচ ফুট মাটির গভীরে মরদেহের গায়ে লবণ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। এছাড়া হানিফ হাওলাদারের রান্নাঘরের মাটির নিচ থেকে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বসতঘরের পেছনের ডোবা হতে অটোরিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আহমাদ মাঈনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এমজেইউ