নাইম মোল্লা

নড়াইলের কালিয়ায় চিকিৎসকের সনদ না থাকার পরেও চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখায় নাইম মোল্লা নামে একজনকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তার চেম্বার সিলগালা করা হয়। 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার চাচুড়ি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ্ত রায় (দীপন) এ জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনায় কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধি ডা. সুব্রত ও আনসার সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন। 

ভুয়া চিকিৎসক নাইম মোল্লা উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আমির হোসেন ওরফে লেদু মোল্যার ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাচুড়ি বাজারে অনুমোদনহীন নাবিল সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নাইম মোল্লা এসএসসি পাস করেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখতেন। পাশাপাশি কোনো প্রকার মেডিকেল সনদ ছাড়াই নিজের প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষাও করতেন তিনি। 

আরও জানা যায়, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নাঈম মোল্লার ডাক্তারি কোনো সনদ না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ রোগীদের ৫০ টাকা ফি নিয়ে রোগী দেখেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি মানুষদের রোগী দেখার নামে এ প্রতারণা করে আসছিলেন।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নাইমের অপরাধ পর্যালোচনা করে বিকালের দিকে তাকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় নাইমের স্বজনেরা জরিমানার অর্থ নগদ পরিশোধ করেন। এছাড়াও ক্লিনিক পরিচালনার জন্য বৈধ কাগজপত্র নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধ রাখাতে নির্দেশ দেন আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ্ত রায় (দীপন) ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযুক্ত নাঈম মোল্লা প্যাডে নিজেকে চিকিৎসক লিখলেও শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় এ জরিমানা করা হয় হয়েছে। মূলত প্রতারণার দায়ে তাকে জরিমানা করা হয়েছে। তার চেম্বার থেকে সিলগুলো জব্দ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি।

সজিব রহমান/এএএ