নুরুল হাসান তপু

হবিগঞ্জের মাধবপুরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ ভোটে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়ে হয়েছেন। আদালতে মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২১ মাস পর পুনরায় ভোট গণনার মাধ্যমে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন নুরুল হাসান তপু ও ইসলাম উদ্দিন। ২ হাজার ৮২৬ জন ভোটারের ওই ওয়ার্ডে আপেল প্রতীকের প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনকে ১ ভোটে জয়ী দেখানো হয়েছিল। নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাখা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হাসান তপু বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল জজ ও হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সবুজ পাল ভোট গণনার আদেশ দেন। 

পুনরায় ভোট গণনায় দেখা যায়, ১ ভোটে পরাজয় দেখানো পাখা প্রতীকের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট পাওয়া গেছে ১ হাজার ২৯৬। অপরদিকে জয়ী ঘোষণা করা ইসলাম উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট পাওয়া গেছে ৭৬৩। এতে দেখা যায় কারচুপি করে ৫৩৩ ভোটে জয়ী প্রার্থীকে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। 

সদ্য বিজয়ী নুরুল হাসান তপু বলেন, আদালত মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ব্যালটে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ১ ভোটে নুরুল হাসান তপুকে পরাজিত দেখানো হয়। আজ আদালতের রায়ে ভোট কারচুপির বিষয়টি প্রমাণিত হলো।

তিনি জানান, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে মাধবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। 

বিষয়টি জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আজহারুল ইসলাম/আরএআর