জকিগঞ্জ পৌরসভা
দুই ভোটে হেরে মামলা, আড়াই বছর পর ৪ ভোটে জয়ী
সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দুই ভোটের পরাজয় মেনে নিতে পারেননি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ফারুক আহমদ। ফলাফলে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
অবশেষে প্রায় আড়াই বছর পর আদালতের মাধ্যমে নিজের পক্ষে রায় পেলেন ফারুক আহমদ। রায়ে দুই ভোটে পরাজিত ফারুককে চার ভোটে জয়ী ঘোষণা করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিলেট যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আদালতের ওয়েবসাইটে রায়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সিলেট যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার পুনরায় গণনা চেয়ে মামলা দায়ের করেন ফারুক আহমদ। পরে আদালত বাদীপক্ষের সাক্ষী ও বিবাদীপক্ষের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করে ভোট পুনরায় গণনার নির্দেশ দেন। এতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমদের বৈধ ভোট হয় ২ হাজার ৭১টি আর আব্দুল আহাদের বৈধ ভোট হয় ২ হাজার ৬৭টি। গণনায় ফারুক আহমদ চার ভোট বেশি পান।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আইনি লড়াই চালিয়ে গেছি। জনগণ ও আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা আমার কঠিন সময়ে সহযোগিতা করেছেন। আমি চাই আদালতের রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল আহাদের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার বাদী ফারুক আহমদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী গোলাম রব্বানী চৌধুরী ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের পিপি অ্যাডভোকেট আলী মর্তুজা কিবরিয়া। বিবাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী সামসুল হক।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আব্দুল আহাদ পান দুই হাজার ৮৩ ভোট আর ফারুক আহমদ পান দুই হাজার ৮১ ভোট। এরপর কারচুপির অভিযোগ এনে জকিগঞ্জ সরকারি কলেজ কেন্দ্র, মধুদত্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, আইডিয়াল কেজি স্কুল কেছরী, মাইজকান্দি মাদরাসা কেন্দ্র ও জকিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার জন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলেন ফারুক আহমদ।
মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ