রাজশাহীতে ইস্টার্ন ব্যাংকের শাখা থেকে এক গ্রাহকের পৌনে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানের ১০টি নম্বরে এই টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অথচ টাকা গায়েবের বিষয়ে কিছুই জানতেন না ভুক্তভোগী গ্রাহক আতিকুর রহমান। 

তবে ব্যাংক হিসাবের আর্থিক বিবরণী (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) তুলে জানতে পেরে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান রাজশাহী সাইবার আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি নালিশি মামলা করেন। তার সন্দেহ, ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কেউ জড়িত রয়েছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আদেশটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের রাজশাহী ও প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

গ্রাহকের পক্ষে আদালতে মামলাটি করেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শাহীন আলম। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের শাখা প্রধান। তার হিসাব নম্বর থেকে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৬ ও ১৭ আগস্ট ১০টি বিকাশ নম্বরে ১০টি লেনদেনের মাধ্যমে টাকাগুলো সরানো হয়।

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য গ্রাহক আতিকুর রহমান ব্যাংকে ডলার এনডোর্স করতে গিয়েছিলেন। তিনি যে ভারতে যাচ্ছেন, তা ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাই জানতেন। আতিকুরের সন্দেহ, তার অনুপস্থিতিতে ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা এই টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকা তোলার বিষয়টি জানতে পারার পর দিন ৪ সেপ্টেম্বর তিনি নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তও করে। এরপর তিনি আদালতে নালিশি মামলাটি করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক আবির আহমেদ খান। 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, আগামী ২৫ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য ইস্টার্ন ব্যাংকের রাজশাহী শাখাকে নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।  

শাহিনুল আশিক/আরএআর