কুমিল্লার মানুষ সব সময় ইতিহাস তৈরি করে : ব্যারিস্টার সুমন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভিড় করেছে হাজারো মানুষ। এর আগে জেলায় কোনো প্রীতি ফুটবল খেলায় এতো মানুষ দেখা যায়নি বলে দাবি আয়োজকদের।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলায় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি এবং মেজর (অব.) সুমন ফুটবল একাডেমি অংশ নেয়। খেলায় গোলশূন্য ড্র হয়।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে কয়েক হাজার দর্শক ভিড় করেন জুরানপুর স্টেডিয়ামে। খেলার শুরু থেকে টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে ব্যারিস্টার সুমনকে ছাড়াই প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই মাঠে নামেন ব্যারিস্টার সুমন। ব্যারিস্টার সুমন মাঠে নামার সাথে সাথেই গ্যালারি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা বেশ জমে উঠলেও দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পায়নি কোনো দল। ফলে গোলশূন্য ড্র হয় খেলাটি।
খেলা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, কুমিল্লার মানুষ সব সময় ইতিহাস তৈরি করে। কুমিল্লার মানুষ যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে সারাদেশের মানুষ কেউ দুর্নীতি করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে ভালো ফুটবল খেলা নেই বলে খেলায় দর্শক খরা। কিন্তু আজ এখানে যে পরিমাণ মানুষ আসছে, এর মানে হচ্ছে ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। হয়তো ভালো খেলা আমরা দিতে পারি না, সে জন্য মানুষ মাঠে আসতে চায় না।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলকে বাঁচাতে হলে সবাইকে নেমে পড়তে হবে। আমি আপনাদের কাছে আসি শুধু ফুটবলের জন্য। আর বলতে চাই, জীবনে পড়াশোনা ছাড়া কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ সময় ব্যারিস্টার সুমন ফুলবল একাডেমিকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করেন মেজর (অব.) সুমন ফুটবল একাডেমির টিম ম্যানেজার দাউদকান্দি উপজেলার চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী ভূইয়া সুমন। ব্যারিস্টার সুমন ফুলবল একাদশের হাতে ট্রফি তুলে দেন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবিদ আলী ভূইয়া।
উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মহিনুল হাসান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম টাইগার প্রমুখ।
আরিফ আজগর/আরএআর