স্বামীর সঙ্গে রহিমা

লক্ষ্মীপুরের ইব্রাহীম হৃদয়ের (২৪) সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নোয়াখালীর রহিমা খাতুন মুক্তার (২০)। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই মেলেনি রহিমার। মেলেনি সামাজিক ও পারিবারিক স্বীকৃতি। 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিমানে নোয়াখালী শহরের বার্লিংটন এলাকার নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রহিমা। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মাইজদী বার্লিংটন মোড় সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা আনিসুল হকের মেয়ে এবং নোয়াখালী মহিলা কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। 

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ইব্রাহীম হৃদয়ের মুঠোফোনে সম্পর্ক হয়। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পরিণতিতে ২০২২ সালে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু ইব্রাহীমের পরিবার মেনে না নেওয়ায় শাশুড়ির সঙ্গে প্রায় মনোমালিন্য হতো রহিমার। এসব নিয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন রহিমা।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মীর জায়েদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা শুনেছি মেয়ের সঙ্গে শাশুড়ির কথা কাটাকাটি হয়েছে। ফলে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

হাসিব আল-আমিন/আরএআর