নওগাঁর আত্রাইয়ে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার জামগ্রাম বাঁধপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৮) ও তার মেয়ে আফরোজা (১০)।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাবিনার ছাগল তার প্রতিবেশী রেখার উঠানের কিছু গাছের ক্ষতি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেখা ছাগলটি আটকে রাখেন। পরবর্তীতে ছাগল আনতে গেলে সাবিনাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন সাবিনা। এরপর সাবিনা এবং রেখার মধ্যকার বিরোধ মেটাতে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রামে সালিশ ডাকেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সোহাগ। সেখানে রেখার পক্ষ নিয়ে সাবিনা ও তার শিশু সন্তানকে অভিযুক্ত করেন ওই ইউপি সদস্য। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সাবিনা নিজের সন্তানসহ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সোহাগ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার রাতের বৈঠকে রেখার পক্ষ নেওয়া হয়নি। সেখানে সাবিনার পক্ষেই কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম। তার পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশ হয়। ওই মুহূর্তে রেখা-সাবিনা উভয়ের হাত ধরাধরির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এরপর আজ সকাল ৯টায় শুনি সাবিনা তার মেয়েকে নিয়ে একই দড়িতে ফাঁস দিয়েছে।

এ বিষয়ে আত্রাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে। তদন্তে গত রাতের সালিশের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

আরমান হোসেন রুমন/এমজেইউ