নবজাতক শিশুটি জানতেও পারল না তার বাবা আর বেঁচে নেই!
বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক ও ইতি ভৌমিক দম্পতির কোল আলো করে পৃথিবীতে এসেছে একটি ছেলে সন্তান। এ খবরে বাড়ি জুড়ে বয়ে চলেছে আনন্দের বন্যা। এখনো হাসপাতাল থেকে শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি স্ত্রী ইতি ভৌমিকের। এরই মাঝে শিশুটি বঞ্চিত হলো বাবার আদর থেকে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নবজাতকের বাবা বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক। নবজাতকটি জানতেও পারল না তার বাবা আর বেঁচে নেই।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট শিব মন্দিরের কাছে হাঁটতে বেড়িয়ে মাইক্রোবাসের চাপায় নিহত হন ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক।
বিজ্ঞাপন
মুকসুদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট গ্রামের মৃত বীরেন ভৌমিকের ছেলে।
ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, নিহত ব্যবসায়ী বিদ্যুত কুমার ভৌমিক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। সোমবার ভোরে তিনি হাঁটতে বের হন। ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ঢাকা থেকে খুলনাগামী একটি মাইক্রোবাস বিদ্যুৎকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান।
এদিকে ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিকের মৃত্যুতে পরিবারসহ গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী ইতি ভৌমিক এখন পাগল প্রায়। দুই সন্তানের চিন্তায় তার কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পরিবেশ।
আশিক জামান/আরকে