মামুনুল হকের পক্ষে ফেসবুকে লাইভ, এএসআই প্রত্যাহার
হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহারের আগের দিন শনিবার (০৩ এপ্রিল) তিনি পুলিশের পোশাক পরে ফেসবুক লাইভে আসেন। পরে তার লাইভটি ভাইরাল হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (০৪ এপ্রিল)এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রশংসা করে এএসআই গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। বেশির ভাগ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন, সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি। আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
এ বিষয়ে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন জানান, এএসআই গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছেন, এটি জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, গোলাম রাব্বনীকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য দিতে পারবো না।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব না।
রাজু আহমেদ/আরএআর