ফেনীতে মো. আইয়ুব নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণসহ তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. আইয়ুব চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ পরিদর্শক। 

তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ আঁধারমানিক গ্রামের মৃত নজির আহম্মদের বড় ছেলে। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চাওয়ায় কাতার প্রবাসী ছোট ভাই মো. মোস্তফা মজুমদার আনোয়ারের স্ত্রী বিবি হাজেরাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

বিবি হাজেরার অভিযোগ করে বলেন, ২০ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা আইয়ুবের ছোট ভাই মো. মোস্তফা মজুমদার আনোয়ারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আমার বিয়ে হয়। আমাদের প্রেমের বিয়ে মেনে নিবেন না বলে বিয়ের পর থেকে আমি ও আমার স্বামীর উপর তিনি বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি আমাদের রান্না ঘরটি ভেঙ্গে ফেলেন। এছাড়াও পানির সংযোগ বন্ধ করে আমাদের পানি সরবরাহের মোটরটি নিয়ে নেন। এরপর তিনি আমাদের জায়গা দখল করে একপ্রকার গৃহবন্দী করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।

বিবি হাজেরা আরও বলেন, বসত বাড়িতে শ্বশুরের ৩২ শতক জায়গা চার ছেলে সমহারে ভোগদখল করার কথা থাকলেও আইয়ুব ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এলেও আইয়ুব তাদের কথা আমলে না নিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।

বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তা ভাসুরের ভয়ে ছেলে-সন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এমন অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেতে বিবি হাজেরা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মজুমদার জানান, অন্যের ঘরকে আড়াল করে ঘর নির্মাণ করাটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে ঘর নির্মাণ করবেন বলে জানিয়েছেন। 

মো. আইয়ুব পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তার এমন অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন কামাল।

অন্যদিকে, পুলিশ কর্মকর্তা মো. আইয়ুবের ছোট ভাই আনোয়ার ও ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পূর্বের ক্ষোভ থেকে এমন অমানবিক কাজটি করছেন বলে জানান তাদের বোনের ছেলে মো. সবুজ।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আইয়ুব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি আমার নিজের জায়গায় ঘর করছি। আমার আগে আরও দুই ভাই ঘর করেছে। এক্ষেত্রে আমি অন্যজনকে বাধা বা হুমকি দেওয়ার কি আছে। তিনি এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত নই।

তারেক চৌধুরী/এএএ