নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গনিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি মো. মহসিন আলম (২৮), কদিমচিলান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. মোখলেসুর রহমান, মো. আব্দুল লতিফ প্রামানিক (৫৫), মো. নাদিম (৩৪) ও মো. জাকিরুল ইসলাম।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলের তেল কেনার জন্য বের হন লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি। পরে স্থানীয় বাজারের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা ওসমান গনির হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। পুলিশ বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল রোববার রাতেই নিহত ওসমান গনির ভাই কুতুব উদ্দিন ২৫ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গনির সঙ্গে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওসমান গনির বাড়িতে এসে তার বাবা এবং ভাইসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এর কিছু দিন পর ১০নং কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেই মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন ওসমান গনি।

এমজেইউ