জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো জেলার ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, গতকাল রাত থেকে ২১ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখন বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আংশিক বন্যাকবলিত হয়েছে। ৪২ হাজার ৪২০ জন পানিবন্দি আছেন। প্রায় ১ হাজার ৮২১ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ২৫টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা।

ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আছাদ সরকার বলেন, আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। এখনো লোকজনের বাড়িতে পানি রয়েছে। বাড়ি থেকে পানি সরে যেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

ইসলামপুর উপজেলার পাথশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার আলম বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। এখনো আমার ইউনিয়নে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এই ইউনিয়নে ৩০০ লোকের জন্য ১০ কেজি করে চাল এসেছিল। আমারা ৩০০ লোককে ত্রাণ সহায়তা করতে পেরেছি।

এদিকে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। তবে বেশ কিছু এলাকায় পৌঁছায়নি সরকারি ত্রাণ সহায়তা‌।

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় ৩৯ মেট্রিক টন চাল ও ৫৪৯ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশু খাদ্য ও গোখাদ্য ক্রয়ের জন্য আরও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

রকিব হাসান নয়ন/আরএআর