গরু চুরি করে মাংস বিক্রি, আটক ৬ চোর
পটুয়াখালীর দুমকিতে চুরি করা গরু জবাই করে বিক্রির সময় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে দুমকী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দুমকি থানাধীন লেবুখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খালপাড় থেকে তাদের আটক করে দুমকি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম।
বিজ্ঞাপন
আটককৃতরা হলেন- দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের বারেক হাওলাদারের ছেলে করিম হাওলাদার ওরফে কসাই করিম (২২), বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউপির দাওকাঠী এলাকার আ. রাজ্জাকের ছেলে মো. রানা খান (২৪), মো. বজলু ভূইয়ার ছেলে মো. আলম ভূঁইয়া (৩০), গারুলিয়া এলাকার মৃত আ. মালেক হাওলাদার ছেলে মো. বশির হাওলাদার (২৬), রুনসি এলাকার ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মো. এখলাছ হাওলাদার (১৯) ও উত্তর নলুয়া এলাকার কালাম সিকদারের ছেলে কাওসার সিকদার (২৮)।
এছাড়াও দুমকির লেবুখালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের মৃত মোস্তফা বিডিআরের ছেলে সুমন সিকদার (৩৫) পালিয়ে যায়। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ১টি কালো ও হালকা লাল রঙের ষাঁড় গরু জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ১টি চাকু, ১টি মটরসাইকেল ও ১টি পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, পলাতক আসামি সুমন সিকদার নিজের মটরসাইকেলটি দিয়ে অন্যান্য আসামিদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চুরি করার কাজে ব্যবহার করেন। আসামিরা পরস্পর একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকআপে করে গরু চুরি করে আনেন। এরপর করিম হাওলাদার ওরফে করিম কসাইয়ের বাড়িতে জবাই করে মাংস বিক্রির দোকানে মাংস বিক্রি করেন।
দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা সবাই আন্ত:জেলা চোর চক্রের সদস্য। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরির মামলা রয়েছে।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এএএ