ফাইল ছবি।

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় যাত্রাবিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন গঙ্গাসাগর রেল স্টেশনে দাঁড় করিয়ে নেমেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, আজ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিন, রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহীদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীণসহ অন্তত ১৫ জন রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আসেন। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নেমে তাদের সড়কপথে গাড়িতে করে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে তারা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন। কিন্তু তারা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যাত্রা বিরতিতে নামার কথা থাকলেও দলটি গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি বা ট্রেন দাঁড় করিয়ে নামেন।’

আখাউড়া কেবিন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে যাত্রাবিরতির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ ঘণ্টা দেরি করে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পরে ১১টা ১০ মিনিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনসহ অন্যদের নিয়ে আখাউড়া রেল সেকশনের বিরতিহীন গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দিয়ে তারা সেখানে নামেন। পরে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। এসময় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীবাহী আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনের যাত্রীরা। ট্রেনটি অন্তত ২০ মিনিট দেরিতে গঙ্গাসাগর রেল স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রেন যাত্রীরা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব একটা অনির্ধারিত বিরতিহীন রেলওয়ে স্টেশনে কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে পারেন না। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।’

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াছিনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ওই ট্রেনের একজন যাত্রী মাত্র। কোনো কথা জানার থাকলে ট্রেন পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন।’

এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবিরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এফকে