২৩ হাজার টাকার টিকিটে মিলল ৮ মণ মাছ
নোয়াখালীর সেনবাগের কেশারপাড় দিঘিতে ২৩ হাজারের টিকিটে ৮ মণ মাছ পেয়ে প্রথম হয়েছেন চাঁদপুর জেলার মাস্টার হারুন। মাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এছাড়াও ৭ মণ মাছ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নোয়াখালীর বিজন এবং সাড়ে পাঁচ মণ মাছ ধরে তৃতীয় হয়েছেন কুমিল্লার আল হাসান।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার মাছ ধরা শেষে মাছগুলো পরিমাপ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, শৌখিন শিকারিদের জন্য কেশাড়পাড় দিঘিতে ছিপ-বড়শি দিয়ে মাছ ধরা উৎসবের আয়োজন করেন রেজাউল করিম জুয়েল, রানা, সবুজ ও সোহেল নামে চার বন্ধু। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায় মাছ ধরা শেষ হয়। ৭০ জন প্রতিযোগী ২৩ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করেন।
মাছ ধরায় প্রথম হওয়া চাঁদপুরের মাস্টার হারুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ও আমার ভাগিনাসহ আমরা ৪ জন মিলে ২৪ ঘণ্টায় ৮ মণ মাছ ধরেছি। মাছের সাইজ ছোট হলেও প্রায় সব ধরনের মাছ পেয়েছি। আমরা প্রায় ৯০ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি। শখের বসে মাছ ধরতে বসে এত মাছ পেয়ে আমাদের কাছে ভালো লেগেছে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এমন আয়োজন অব্যাহত থাকুক।
মাছ ধরায় দ্বিতীয় হওয়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মিঠুন রায় বিজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি, আমার বন্ধু ফয়েজুর রহমান মিল্লাত, শাখায়োত হোসেন রাশেদ ও মোহাম্মদ সিরাজ মিলে ৭ মণ মাছ পেয়েছি। উৎসবের মতো করে মাছগুলো পেয়ে আমাদের কাছে ভালো লেগেছে।
মাছ ধরায় তৃতীয় হওয়া কুমিল্লার লাকসামের আল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেশারপাড় দিঘির সুনাম রয়েছে। এখানে সুন্দর আয়োজন হয়। আমরা সাড়ে পাঁচ মণ মাছ পেয়েছি। সব মিলে খুব ভালো লেগেছে সময়টুকু। সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আয়োজক রেজাউল করিম জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে আমরা এই মাছ শিকারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। সবাই খুব ভালো মাছ পেয়েছে। এটা আমাদের প্রথম প্রতিযোগিতা ছিল। মডেল ও অভিনেতা আদিল হাসান নোবেলসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য শিকারিরা এখানে এসেছেন। নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের সহযোগিতায় আমরা সুন্দরভাবে প্রতিযোগিতা শেষ করতে পেরেছি।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে সৌখিন শিকারিরা আমাদের জেলার ঐতিহাসিক কেশারপাড় দিঘিতে মাছ ধরেছেন। এটা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। তারা নির্বিঘ্নে মাছ ধরেছেন। আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। নোয়াখালীর সুনাম বৃদ্ধিতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
হাসিব আল আমিন/আরএআর