উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে যমুনার পানি বেশ কয়েকদিন হলো বেড়েই চলেছে। ফলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের পর এবার কাজিপুর পয়েন্টেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে যমুনা নদীর পানি। এদিকে যমুনায় পানি বেড়ে পাঁচ উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।

অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।

রনজিত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন দিন ধরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল কাজিপুর পয়েন্টেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বন্যা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যমুনার পানি আরও দু-একদিন বাড়বে। এরপর কমতে পারে। তবে বড় বন্যার কোনো সম্ভাবনা নাই।

যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের আবাদি জমি। প্রতিদিনই পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন : বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, চরাঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়লেও শঙ্কার কিছু নেই। বড় কোনো বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

শুভ কুমার ঘোষ/এএএ