নেত্রকোণায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার মার্কাস মোড়সহ শহরের কয়েকটি স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবুল খায়ের ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার মার্কাস মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে উপজেলার দিকে যেতে চাইলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়া শুরু করে। এতে কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি গোলাম রসূল, সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিন মোবারক, যুবদল নেতা তাইমূলসহ অন্তত ৩০ আহত হয়।
আহতদের অনেকেই নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে এবং অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির লোকজন সংগঠিত হয়ে বাজারে হামলা করে। এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ সাত রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
মো. জিয়াউর রহমান/এমজেইউ