২০১৫ সালের মামলায় বিএনপি নেতা গউছ রিমান্ডে
বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জি কে গউছকে ২০১৫ সালের একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে দুইদিনের মঞ্জুর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জে দায়েরকৃত পুলিশের ২টি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার এক মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে বের হলে বিএনপির এই নেতাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই ঈদের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দী থাকাবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। ডিবি সেই সময়ে দায়েরকৃত একটি পুলিশের মামলায় মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করে। একই সঙ্গে গউছের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৯ আগস্ট বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আলহাজ জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ১২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়।
২০ আগস্ট বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছের বাস ভবন ও বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ হামলা ভাঙচুর করে। এ নিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি বাদী হয়ে দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ৩টি মামলার আসামিদের জামিন করতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ জি কে গউছ গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট জি কে গউছসহ ১৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীর ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। জামিন পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকার ডিবি পুলিশ।
আজহারুল মুরাদ/এএএ