ফেসবুকে ১৬ কবরের ছবি, পরিচয় জানতে তদন্ত কমিটি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৬টি নতুন কবরের সন্ধান মিলেছে। তবে সেই কবরগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে বহুবিধ প্রশ্ন। কবরগুলো কাদের, কেনই বা তাদের একসঙ্গে দাফন করা হয়েছিল! এমন সব প্রশ্ন ছুঁড়ে সম্প্রতি এক কবরস্থানের কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে গুজব ছড়ায় একটি চক্র। যা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।
স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বার নিউ মার্কেটের পাশে মোল্লা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান। স্বাধীনতার আগে এখানে বেশ কিছু লোককে দাফন করা হয়েছিল। সম্প্রতি কবরের আগাছা পরিষ্কার করে ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। এখানে কবর আছে নাকি নেই এমন বিতর্কের মাঝে ফেসবুকে ‘১৬ নতুন কবরের সন্ধান, মানুষ আতঙ্কে’ এমন গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কবরস্থান ও পাশের জমির মালিকানা নিয়েও রয়েছে বিরোধ। তাই কবর বিতর্কের বিষয়টি গড়ায় স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
কবরস্থানের পাশের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এই কবরস্থানটি মোল্লা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান। এটি ২১০ বছরের পুরোনো কবরস্থান। এখানে আমাদের অনেক পূর্বপুরুষ শায়িত আছেন। আগাছায় ভরে ওঠার পর কিছুদিন আগে আমরা পারিবারিকভাবে কবরস্থানটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেই। কবরস্থানটি পরিষ্কার করে নতুন মাটি ফেলে তাতে ফুলগাছ লাগানো হয়েছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল আমাদের এই কবরস্থান নিয়ে গুজব রটাচ্ছে। মূলত এখানে ২ শতক জায়গা নিয়ে সমস্যা। একই এলাকার রমিজ মোল্লা ২ শতক জায়গা অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করে আসছেন। সেটাতে বাঁধা দেওয়ায় এসব গুজব রটানো হচ্ছে।
এর আগে রমিজ মোল্লা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা ১৬টি নতুন কবর ও কবরের ভেতরের মানুষগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে রমিজ মোল্লার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিখিত আবেদন পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে বিস্তারিত পরে জানাবো।
আরিফ আজগর/এএএ