নীলফামারীর সৈয়দপুরে হোটেল শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। ফলে রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে শহর ও আশপাশের সব হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে গেছে।

এক দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার রাতে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হানের মধ্যস্থতায় সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়। পরে সবাই হাত মিলিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করেন। এতে করে রোববার সকাল থেকে সৈয়দপুরের সব হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়া হয়েছে।

শান্তিপূর্ণ সমাধান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরোয়ার আলম, সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, তাজির উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেলের মালিক আতিয়ার রহমান, কর্মচারী, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ।

সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে হোটেল শ্রমিক ও মাইক্রো-পিকআপ শ্রমিকদের মাঝে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝি সকলের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করা হয়। সকাল থেকে সব হোটেল ও রেস্তোরাঁ খুলে গেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে শহরের তাজির উদ্দিন গ্র্যান্ড হোটেলে হাঁসের মাংস পরিবেশনকে কেন্দ্র করে হোটেল ও পিকআপ শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। পরে দোষীদের শাস্তির দাবিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ও শ্রমিকেরা গভীর রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শরিফুল ইসলাম/এএএ