যুবদল নেতা তৌফিকুল ইসলাম

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাছে আটক যুবদল নেতা তৌফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তৌফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়। কিন্তু সংঘর্ষের সময় তৌফিকুল ইসলাম পুলিশের কাছে আটক ছিলেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ২০ আগস্ট হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তা নগরে বিএনপি নেতাকর্মীরা হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখম, মানুষের সম্পদ বিনষ্ট, বিস্ফোরণ ও বিস্ফোরক দ্রব্য রাখার অভিযোগে ২৬ আগস্ট একটি মামলা করেন মহিবুর রহমান মাহী। দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ১০টি ধারার অভিযোগ এনে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগনকে প্রধান আসামি করে ৮৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। এতে আরও ১০০/১৫০ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তৌফিকুল ইসলামকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। কিন্তু তিনি এর একদিন আগ থেকেই পুলিশের হেফাজতে আছেন। তৌফিকুল ইসলাম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৯ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে তৌফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। তাকে ২০ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

মামলায় আসামিদের অসংগতিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী বলেন, শত শত লোক আমাদের মিছিলে হামলা করে। আমাদের জানামতে ঘটনার সময় এরা উপস্থিত ছিল। অনেক সময় জেলে না থাকলেও বলা হয় জেলে আছে। বিষয়টি দেখছি।

 আজহারুল মুরাদ/এএএ