মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় কিশোরগঞ্জে সাত ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাছির, বুরুদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব আল হাসান (ডেবিড রাকিব), কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া রাজু,  রাকিব চৌধুরী, ওয়াসিম খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ভুলে, নৈতিক অবক্ষয় কার্যকলাপে জড়িতদের সংগঠনে কোনো স্থান নেই। সম্প্রতি নীতি-আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে স্ব স্ব সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশ করা হলো।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ওই সাত ছাত্রলীগ নেতা তাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সে কারণে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি ২০০৭ সাল থেকে। ২০১৪ সালে কমিটি পাই। সেই কমিটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। এখন ২০২৩ সাল প্রায় শেষ। ৯ বছর হয়ে গেছে। আমারতো এমনিতেই মেয়াদ শেষ। এরা কি বহিষ্কার করবে? এছাড়া জেলা ছাত্রলীগই তো অবৈধ। কারণ সাড়ে ৩ বছরেও এরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি।

এমজেইউ