শাকিল খান

শরীয়তপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাকিল খান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বহিষ্কৃত শাকিল খান গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরকারি শামসুর রহমান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল খান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন। এছাড়া গত রোববার আবারও তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘যে দলে কোনো মানুষের মৃত্যুতে শোক জানালে বহিষ্কার হতে হয়, সে দল মুসলমানের দল হতে পারে না।’ এ পোস্টটি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের নজরে এলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শাকিল খানকে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ও কলেজ শাখা কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে সরকারি শামসুর রহমান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রাজু ব্যাপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুতে তার পক্ষ নিয়ে শাকিল খান ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করে আসছিলেন। বিষয়টি আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। তাই তাকে কলেজ কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কারের বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেওয়ান আজমল হোসেন নয়ন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শাকিল তার পক্ষে ফেসবুকে লেখালিখি করেছে। এছাড়া এই বিষয়ে সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করার প্রসঙ্গে গত রোববার একটি সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট করেছে, যা সম্পূর্ণ সংগঠনের নীতি ও আদর্শের বাইরে। তাই তাকে সংগঠনের দুই কমিটির দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শাকিল খান বলেন, আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে পোস্টগুলো করেছি। দলের অন্যরা ভালো চোখে দেখেনি বলেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম সাইফ রুদাদ/এমজেইউ