পটুয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। ফসলের মাঠে পানি উঠে পচন ধরেছে ফসলে। আর এতে করে সবজির দাম বেড়ে গেছে কয়েক গুণ বেশি। নিম্নআয়ের মানুষদের সবজি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

মাছ-মাংস ও ডিমের দাম বাড়তে থাকায় নিম্নআয়ের মানুষ সবজির উপরে নির্ভরশীল। তবে এখন সেই সবজির দাম বৃদ্ধি
 পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হওয়াতেই এ বিপত্তি। কিন্তু এত বেশি হারে দাম বৃদ্ধির যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা।

শহরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত ১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহের ১৫০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ফুলকপি দাম ৮০ টাকা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শষা ৫০ টাকা, রেখা ৭০ টাকা, বরবটি মুটি ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, ঘাডি ৭০ টাকা,‌গাজর ২০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা এছাড়াও প্রায় সবকটি সবজির দাম বেড়েছে।
 
গৃহিণী সাবরিনা বলেন, গত সপ্তাহে যে কাঁচা বাজার করেছি তার চেয়ে এখন দ্বিগুণ দামে আজকে বাজার করতে হয়েছে। একটি ছোট লাউ ১০০ টাকার নিচে কেনা যায় না। যে কাকরোল ৪০ টাকায় কিনেছি সে কাঁকরোল এখন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মত মধ্যবিত্তের না খেয়ে থাকতে হবে। মাছ-মাংস, ডিম যেমন দাম সবজির দামও তেমন।

সদর রোড ছোট মসজিদের মুয়াজ্জিন নাদিম আহমেদ বলেন, বাজারে ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। দুই ধরনের সবজি কিনলেই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা শেষ হয়ে যায়। এরপর চাল ডাল তেল অন্যান্য বাজার করতে গেলে হাতে আর টাকা থাকে না। বৃষ্টির দিনে এখন স্থানীয় সবজি বাজারে কম আসে। জেলার বাইরে থেকে যে সবজি আসে সেই সবজির দাম বেশি পড়ে।

বিক্রেতা সেলিম খান বলেন, শহরের চারপাশে যে গ্রামগুলো রয়েছে সেখান থেকে প্রতিদিন শত শত মণ সবজি এই বাজারে আসে ও বিক্রি হয়। কিন্তু এখন আর সেই আগের মত সবজি খোলা বাজারে আসে না। এজন্য বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই বৃষ্টি ও পানি চলে গেলে দাম আবার আগের পর্যায়ে চলে যাবে। বাইরের জেলা থেকে যখন কাঁচামাল আসে তখন ট্রাক ভাড়া আড়ৎ খরচ সব মিলিয়ে এমনিতেই একটু দাম বেশি পড়ে যায়। আর দাম কখনই এক ভাবে চলে না। এক ঘণ্টা দুই ঘণ্টা পর পর দাম বাড়ে-কমে।

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরকে