নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাসি খাবার ফ্রিজে রেখে বিক্রির অভিযোগে কলাপাতা নামের একটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগে আরও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। এসময় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্যানিটরী ইন্সপেক্টর হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগে অভিযান চালান বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। এসময় তিনিটি হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ভেতরের রান্নাঘর পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। একই ফ্রিজের মধ্যে আগের দিনের অবিক্রিত ফ্রাইড চিকেন, মেরিনেট করা মাংস, কাঁচা মাছ-মাংস এবং মসলা একসঙ্গে পাওয়া যায়। এছাড়া এগুলোর কোনটিরই হোটেল ও রেস্তোরাঁ লাইসেন্স এবং খাবার তৈরি ও পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত স্টাফদের স্বাস্থ্য সনদ/হেলথ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি।

এসব অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় কলাপাতা হোটেল ও রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা, কাশফুল হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা এবং বিসমিল্লাহ হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কলাপাতা রেস্তোরাঁ আগের দিনের অবিক্রিত খাবার ফ্রিজে রেখে পরেরদিন বিক্রি করছেন। তাই তাদের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়  কাশফুল হোটেলকে  ৫০ হাজার টাকা এবং বিসমিল্লাহ হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

হাসিব আল আমিন/আরকে