অভিযুক্ত শ্যামল কান্তি বিশ্বাস

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম শ্যামল কান্তি বিশ্বাস। তিনি উপজেলার রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

সোমবার (২১ আগস্ট) ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকটি  শূন্য পদে নিয়োগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন ওই গৃহবধূ। আবেদনের পর থেকে চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস আয়া পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তার বাড়ি যেতে বলেন। ওই গৃহবধূ চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে মাঝেমধ্যে বাড়ির কাজ করে দিতেন। ২৬ মার্চ রাতে চেয়ারম্যান ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। 
  
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি চেয়ারম্যান। আমার স্ত্রী আয়া পদে আবেদন করার পর থেকে আমাদের বাড়িতে তার যাতায়াত বেড়ে যায়। আমি কাজের জন্য সব সময় বাড়িতে থাকতে পারি না।  চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীকে চাকরি দেবে বলে ধর্ষণ করেন। আমরা আজ গোপালগঞ্জ আদালতে এসে মামলা করেছি। আদালতে আসার পর ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতিকে পাঠিয়েছে মামলা করতে বাধা দিতে।  আমি চেয়ারম্যানের বিচার চাই। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামশীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বিশ্বাস বলেন, আজ সকালে জানতে পেরেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমরা চেয়েছিলাম স্থানীয়ভাবে মীমাংসা  করতে, কিছু লোক তাদের মামলা করতে উসকানি দিয়েছে। মামলা করতে বাধা দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পাঠাইনি। তাকে মীমাংসার জন্য কথা বলতে পাঠিয়েছিলাম। 

আশিক জামান/আরএআর