এটি সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: মামুনুল হক
অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শনিবার (০৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কর্মীরা হামলা চালিয়ে মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর মোগড়াপাড়া ঈদগাহ ময়দানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
মামুনুল হক বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। লাগাতার কাজের চাপের কারণে আমার একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার ছিল। এজন্য আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।
তিনি বলেন, তারা বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে চেয়েছে। এরপরও আমি আপনাদের অনুরোধ করব, উত্তেজিত হবেন না। এখান থেকে যে যার মতো করে গন্তব্যে যাবেন। এমন পরিস্থিতিতে শান্ত না হলে দায়ভার আমাদের ওপর আসবে। আপনারা উত্তেজনা ছড়াবেন না।
বিকেল ৩টায় রয়েল রিসোর্টের পাঁচতলার ৫০১ নম্বর কক্ষে নারীসহ মামুনুলকে অবরুদ্ধ করা হয়। সেই নারী দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
মামুনুল হক বলেন, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়বা। তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে এসেছি। মানুষের ভিড় এড়াতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবগত করিনি। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এটি সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এসব ষড়যন্ত্র করে আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবে না।
বিয়ের কাবিন নামা আছে কিনা জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, আমি কাবিন করিনি, তবে আমার বৈধ স্ত্রী। প্রমাণ আছে।
এদিকে রাত ৮টায় হেফাজতের কর্মীরা দ্বিতীয় দফায় রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর চালান। হেফাজতের ইসলামের নেতাকর্মীদের দাবি, হুজুরের স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাপক ভাঙচুরের একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি.আই মোশাররফ হোসেন ওই নারীকে পাঁচতলা থেকে নিয়ে এসে হেফাজতের নেতাকর্মীদের জিম্মায় ছেড়ে দেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ অবস্থান করছেন- এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন। পরে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
শেখ ফরিদ/এএম