চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ধান চুরির মামলায় কারাবন্দি হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম ও তার ভাই নুরুল আমিনকে জামিন দিয়েছে আদালত। সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম সৈয়দা আমিনা ফারহিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। 

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সামছুদ্দিন হিমেল ভূঁইয়া জানান, ধান চুরির মামলায় গত মে মাসেই চেয়ারম্যান জসিমসহ ৯ আসামি জামিন পায়। এরপর তারা আদালতে একবার হাজিরা দিয়েছেন। জামিনের পর রোববার দ্বিতীয় হাজিরার দিন ছিল। তারা হাজিরা দিতে আদালতে যান। এ সময় মামলাটি ঊর্ধ্বতন আদালতে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আজকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দুইজনকে জামিন দিয়েছেন। 

জামিনপ্রাপ্ত জসিম রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামলার বাদী জামেনারা আক্তার লীনা চেয়ারম্যান জসিমের আপন ভাতিজি। তিনি কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে জামেনারা আক্তারের চার একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাঁধা দেওয়ায় জামেনারা আক্তারকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর জামেনারা আক্তার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়। চলতি বছর ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।

বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় রোববার আদালতে শুনানি ছিল। এ সময় আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৯ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এএএ