কালকিনিতে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে টিকটক করায় ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মাদারীপুরের কালকিনির কালিনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বসে টিকটক ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয় ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার কালীনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির চার ছাত্রী তাদের ক্লাস চলমান অবস্থায় আরেক রুমে বসে ফোন দিয়ে নিজেরাই টিকটক তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। এটি মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় টিকটককারী ওই ৪ শিক্ষার্থীকে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হলে তোপের মুখে পড়ে ওই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন কিরণ অভিযুক্ত ওই ৪ শিক্ষার্থীকে ডেকে তাদের শাস্তি হিসেবে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, আগে আমরা যখন লেখাপড়া করেছি তখন স্যার দেখলে আমাদের ভেতরে ভয় কাজ করতো পড়ালেখা ছাড়া আমরা কিছু আর বুঝতাম না। আর এখনকার পোলাপানরা স্যারদের ভয় তো দূরের কথা তাদের কথা-ই শোনে না এবং মানে না। স্যারেরা শাসন করলে এখনকার পোলাপানরা স্যারদের মারতে যায়। যারা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এরকম করেছে তাদের সঠিক বিচার হোক এটাই চাই।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন জানায়, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমরা এ রকম কাজ আর করব না। ঠিকমতো লেখাপড়া করব।
কালীনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাফ হোসেন কিরণ বলেন, স্কুল হচ্ছে পড়ালেখা শেখার জায়গা। এটা কোনো টিকটক করার জায়গা নয়। অভিযুক্ত ৪ ছাত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যাতে তাদের মতো আর কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে এসব করার সাহস না পায়।
এ ব্যাপারে আলীনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও কালীনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য হাফিজুর রহমান মিলন বলেন, আমি একজন অভিভাবক হিসেবে বলতে চাই বিদ্যালয়ে বসে তারা অন্যায় কাজ করেছে তাই শাস্তি হয়েছে। আগামীতে কোনো শিক্ষার্থী এভাবে অন্যায় অপরাধ করলে কোনো প্রকার ছাড় পাবে না।
রাকিব হাসান/এমএএস