খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে ওষুধ দোকানিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে  ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর মেডিকেলের সামনের অর্ধ শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রাত থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, রাতে মেডিকেলের এক ছাত্র কলেজের সামনের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধের দাম নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে দোকানি তাকে মারধর করেন। এরপর সে অন্য ছাত্রদেরকে জানালে তারা ওষুধের দোকানে যান। তখন ওষুধের দোকানিরা তাদেরকেও মারধর করে। এতে ১৫ জন ছাত্র আহত হন।

এ ঘটনায় ছাত্ররা হামলাকারীদের আটক করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে রাত ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওষুধ দোকানিরা জানান, ছাত্রদের হামলায় তিনজন দোকানি আহত হয়েছেন। এছাড়া ছাত্ররা ওষুধের একাধিক দোকান ভাঙচুর করেছেন। ছাত্রদের সঙ্গে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ওষুধের অর্ধশতাধিক দোকান বন্ধ রয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/কেএ