ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ

মোদিবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় কোনো আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতাকে গ্রেফতার না করার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। যদি গ্রেফতার করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতের নেতারা। শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারী ও যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদ-মাদরাসায় হামলার প্রতিবাদে; ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় মাদরাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। টিএ রোড ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান, জেলা হেফাজতের নেতা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, আলী আজম, এরশাদুল্লাহ, জুনায়েদ কাসেমী ও নোমান আল হাবিব প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম দেশের জন্য, ভারতের আগ্রাসনকে ঠেকানোর জন্য মোদির আগমনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। মোদির বিরুদ্ধে ভারতেও আন্দোলন হয়। কিন্তু সেখানে কাউকে হত্যা করা হয়নি। যারা বাংলাদেশে মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনে আক্রমণ করেছে- তারা ভারতের কর্তৃত্ব বাংলাদেশে চালিয়ে যাওয়ার জন্য করেছে।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, কোনো আলেম-ওলামা, তৌহিদী জনতাকে গ্রেফতার বা হয়রানি করবেন না। যদি গ্রেফতার করা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা জীবন দিয়ে হলেও রাজপথে লড়ে যাব।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

আজিজুল সঞ্চয়/এএম