ছেলেকে বিষ মেশানো দুধ দিয়ে মা নিজেও পান করলেন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলেকে বিষ পান করিয়ে মা নিজেও বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় সন্ধ্যায় প্রথমে ছেলে এবং পরে রাতে মায়ের মৃত্যু হয়।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনার ঘটে বলে জানিয়েছেন ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান।
বিজ্ঞাপন
মৃত রোজিনা বেগম (৩৫) স্থানীয় রুবেল হোসেনের প্রথম স্ত্রী এবং মৃত ফয়সাল ইসলাম হৃদয় (৮) রোজিনা-রুবেল দম্পত্তির একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তারা ভান্ডারিয়া উপজেলাধীন তেলিখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হোসেন। তিনি পেশায় অটোচালক। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে তার পারিবারিক কলহে সাংসারিক অবস্থা ভালো চলছিল না। বুধবার বিকেলে এই বিষয়ে ঝগড়া হলে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পর স্ত্রী রোজিনা প্রথমে ছেলেকে দুধে বিষ মিশিয়ে পান করান পরে নিজেও ওই দুধ এক গ্লাস পান করেন। স্থানীয়রা খবর পেয়ে দুজনকেই মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলে হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করে। রোজিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বরিশাল যাওয়ার পথে রোজিনার মৃত্যু হয়। মা-ছেলের মৃত্যুর এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, হৃদয় হোসেন নামে এক শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশুটির মা রোজিনা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তেলিখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মতিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক বিষপানের পর ছেলে হৃদয়কে হাসপাতালে মৃত নেওয়া হয়েছে। আর বরিশাল যাওয়ার পথে মা রোজিনার মৃত্যু হয়েছে।
ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবীর হাসান/আরকে