অবশেষে নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করলেন তিনি
ভোলার লালমোহনের মহিউদ্দিন নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে তার নামে পুনরায় প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ প্রতিবন্ধী মহিউদ্দিনের হাতে নতুন ভাতার বই তুলে দেন। পুনরায় ভাতা চালু হওয়ায় খুশি মহিউদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
মহিউদ্দিনের প্রতিবন্ধী ভাতা ২০২১ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ভাতা বন্ধের কারণ হিসেবে তিনি জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন তাই তার ভাতা অন্য আরেকজনের নামে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে বহুবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি। পরে তিনি ঐ ভাতা পাওয়ার হাল ছেড়ে দেন। তবে তার এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে সমাজসেবা কার্যালয়।
“নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে না পারায় প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ” শিরোনামে গত ৫ আগস্ট ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ভোলার লালমোহনের মো. মহিউদ্দিন নামে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি জীবিত থাকার পরও কাগজপত্রে তিনি মৃত। যে কারণে তার প্রতিবন্ধী ভাতাটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও কাগজপত্রে আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। এর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বন্ধ হয়ে যায়। এই ভাতা চালু করতে নানাভাবে চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এখন আবার ভাতা চালু হয়েছে। এজন্য আমি সাংবাদিক ও সমাজসেবা অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ জানান, দুই বছরেও নিজেকে ‘জীবিত’ করতে পারেননি তিনি। এমন একটি সংবাদ আমার নজরে আসে। পরে ওই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। এরপর সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে মহিউদ্দিন নামে ঐ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভাতাটি পুনরায় চালু করতে সক্ষম হই। এখন থেকে তিনি নিয়মিত ভাতার টাকা পাবেন।
এএএ