বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের পানিতে ভাঙন আতঙ্কে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের শতাধিক পরিবার। শুধু এ গ্রাম নয় উপজেলার সঙ্গে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চলাচলের মীরগঞ্জ সড়কটিও পড়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে। 

রোববার (৬ আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সুগন্ধা নদী পারের গাছপালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙনের আশঙ্কা।

ক্ষুদ্রকাঠীর বাসিন্দা আরাফাত হোসেন ফরিদ বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙন পূর্ব ক্ষুদ্রকাঠীর দিঘির পাড় বটতলা এলাকায় ৩০ গজের মধ্যে এসে পড়েছে। শতভাগ ঝুঁকির মধ্যে আছে রহমতপুর থেকে মীরগঞ্জ সড়কটি। সুগন্ধার মূল নদী থেকে ওই এলাকায় ভাঙন প্রায় ১০০ ফুট ভিতরে প্রবেশ করেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের বাকি অংশ এবং মীরগঞ্জ সড়ক বিলীন হয়ে যাবে।

ভাঙন কবলিত আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, সুগন্ধার ভাঙনে ইতোমধ্যে আমার বাড়ি তিনবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আবার ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে চলে এসেছে। এবার ভাঙলে আমার শেষ আশ্রয়টুকুও চলে যাবে। আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।

সেলিম হাওলাদার বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে অনেকেই দেখে গেছে। কেউ এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেননি।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ের সুগন্ধা নদী সংলগ্ন অংশের ভাঙন রোধে আধা কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। নতুন কোনো ভাঙন কবলিত এলাকা হলে সেগুলোর প্রাথমিক ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে চেষ্টা করছি। বস্তুত সুগন্ধার ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ী পরিকল্পনা দরকার।

বরিশাল -৩ (বাবুগঞ্জ -মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, রহমতপুর, মীরগঞ্জ সড়ক ও ক্ষুদ্রকাঠী গ্রাম ভাঙন ঝুঁকিতে আমি শুনেছি। ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ