চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তিন গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই রাস্তাা দিয়ে চলাচলকারী বাউশিয়া, ফরাজিকান্দি ও মধ্যম বাউশিয়া গ্রামের বাসিন্দারা।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি শাখা হচ্ছে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ কাজ করছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে প্রশাসনের লোকজন এসে দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে যান। তারা একদিন কাজ বন্ধ রেখে ফের রাতের আঁধারে ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক দিয়ে দেয়াল নির্মাণ কাজ করেই যাচ্ছেন। গ্রামবাসী নির্মাণ কাজ করতে বাধা দিলে তারা বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে চাঁদাবাজির মামলায় পড়তে হবে। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
গজারিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম প্রধান বলেন, মানুষের চলাচলের রাস্তার জায়গায় কারো মালিকানা থাকলেও কেউ বন্ধ করতে পারে না। জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার কারো অধিকার নেই। এটি আইনসিদ্ধ নয়।
এ বিষয়ে বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান বলেন, বিষয়টি আমাকে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাপী আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। আমাদের অবগত না করেই যেভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে তা দুঃখজনক। আমরা চাই গ্রামীণ এই সড়কটি রক্ষায় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইট ইনচার্জ মোহাম্মদ আজাদ বলেন, আমরা সড়কের জায়গা রেখেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছি। আমাদের কাজ শেষ হলে সড়কের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাশেদুল ইসলাম জানান, রাস্তা দখল করে প্রাচীর নির্মাণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি ফের কাজ করে, আমরা খোঁজ নিয়ে জনস্বার্থে রাস্তাটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিবো।
ব.ম শামীম/আরএআর