দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে মাত্র ৫০ টাকায় মিলছে সুস্বাদু মুরগির মাংসে এক প্লেট বিরিয়ানি। শুনতে অবাক লাগলেও এমন দোকানের সন্ধান মিলিছে পদ্মা পাড়ের জেলা রাজবাড়ীতে।

জেলা শহরের ২নং রেলগেটে উৎপল সাধু’র ভ্রাম্যমান খাবারের দোকানে এই বিরিয়ানি খেতে ভিড় করছেন ভোজন রসিকেরা। মাত্র ৫০ টাকার মুরগির বিরিয়ানী ছাড়াও এখানে রয়েছে ১২০ টাকা প্লেট খাসির মাংসের বিরিয়ানী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজবাড়ী জেলা শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় একটি ভ্যানের ওপর বিরিয়ানির ড্যাগ নিয়ে বসে আছে উৎপল সাধু। দুপুর ১২টার দিকে তিনি রেলগেট এলাকায় আসেন আর থাকেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। দুপুর হলেই তার ভ্রাম্যমাণ দোকানে লেগে যায় ভিড়। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ এসে তার এই বিরিয়ানির স্বাদ নেয়। কেউ আবার পার্সেল করে বাড়িতে নিয়ে যান।

বিরিয়ানি ক্রেতা কাজী তানভীর মাহমুদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাত্র ৫০ টাকায় রাজবাড়ীতে উৎপল সাধুর দোকানে চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এখানে নিয়মিত খেতে আসি। ৫০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি খাই। ৫০ টাকা অনুযায়ী তার খাবারের মান ভালো। 

রিকশাচালক সিরাজ বলেন, কম টাকার মধ্যে এখানে পেটভরে খাওয়া যায়। কারণ হোটেলে পেট ভরে খেতে গেলে ১০০ টাকার কমে হয় না। সেখানে উৎপল সাধুর দোকানে মাত্র ৫০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি খেতে পারছি।

দোকানি উৎপল সাধু জানান, আমি আগে বাসা বাড়িতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্নার বাবুর্চির কাজ করতাম। পরে আমি ভ্যান গাড়িতে করে ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান করেছি। আমি পোলাও চাল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করি। রান্নার কাজে বাড়িতে আমার স্ত্রী সাহায্য করে।প্রথম যখন শুরু করি তখন ৩ কেজি চালের বিরিয়ানি রান্না করতাম। এখন দিনে ৮ কেজি চালের বিরিয়ানি রান্না করি। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়।

কম টাকায় ভালো মানের ও স্বাদের খাবার পেয়ে ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমি নিজে একজন দরিদ্র মানুষ তাই সকলের কথা চিন্তা করে খাবারের দাম কম রাখছি। এতে আমার লাভের পরিমাণ কম হলেও মানসিকভাবে শান্তি পাই। তবে দ্রব্যমূল্যের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আমরা অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ অনেক কষ্টে আছি।

মীর সামসুজ্জামান/আরকে