ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যলয় ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই কোটালিপাড়া ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত করে স্বপন তালুকদারকে সভাপতি ও শামিম দাঁড়িয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা। এরপর থেকে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটি বাতিলের দাবিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার দলীয় কর্মসূচির প্রস্তুতি চলাকালে নতুন কমিটির সমর্থক ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সাধারণ সম্পাদক শামিম দাঁড়িয়া বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দলীয় কর্মসূচি প্রস্তুতি চলাকালে তারা নেতাকর্মীদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসেও ভাঙচুর করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা কে কয়েকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
আশিক জামান/এএএ