রাবি শিক্ষক তাহের হত্যায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে কারাগারে এই ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে আটজন জল্লাদ দুজনের ফাঁসি কার্যকর করেন। এ সময় চিকিৎসকসহ রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দুজনের পরিবারের সদস্যরাও কারাগারে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিন এবং ড. এস তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
২০০৮ সালে নিম্ন আদালতে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মামলার দুই মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন।
ফাঁসির রায় ও উচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ আদেশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর তার কাগজপত্র গত ৫ জুলাই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
গত ২ মার্চ এই দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তা বহাল থাকে আপিল বিভাগে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও। এরপরে তারা প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং দুজনকে খালাস দেন।
শাহিনুল আশিক/এএএ/এমজে