‘বাসের জানালা দিয়া হাত বাইর করলে কেডা জানি আমারে টাইনা বের করছে’
ঝালকাঠিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে পড়ে যাওয়ায় ভান্ডারিয়া পৌর শহরের দক্ষিণ ভান্ডারিয়া মহল্লার ওষুধ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন ব্যাপারী (৪০) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। তবে এসময় তার সঙ্গে থাকা সাত বছরের ছেলে বেঁচে যায়। স্থানীয়রা শিশুটিকে বাসের জানালা থেকে বাইরে বের করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
শনিবার (২২ জুলাই) নিহত বাবা তারেক হোসেন তার ছেলে মাহাদীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাসযোগে বরিশাল যাচ্ছিলেন। বেঁচে যাওয়া শিশু মাহাদী ভান্ডারিয়া শহরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার দিন দুপুরে শিশু মাহাদীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আহত মাহাদী শুয়ে আছে মা কেয়া বেগমের পাশে। বাবা হারানোর কষ্ট আর দুর্ঘটনার পর আহত মাহাদী অনেকটাই বাকরুদ্ধ।
মাহাদী বলে, ‘হঠাৎ বাসটি ছিটকাইয়া রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। এরপর আব্বারে আর পাই না। আমি বাসের জানালা দিয়া হাত বাইর করলে কেডা জানি আমারে টাইনা বের করছে।’
এছাড়া ভান্ডারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিহত আট পরিবারে স্বজন হারানোর মাতম চলছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে পড়ে গিয়ে মাহাদীর হাত ভেঙে যায়। তার চিকিৎসার জন্য শনিবার বাবা তারেক তাকে নিয়ে ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বরিশালগামী বাসে ওঠেন। পথে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তারেক ব্যাপারী নিহত হন। ঝালকাঠি সদরের ছত্রকান্দায় শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
আবীর হাসান/আরকে