ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দায় বাস দুর্ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম এ কথা জানান।

তিনি জানান, যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাদের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ বুঝে নিতে চাইলে তা হস্তান্তর করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসচালক নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। সবকিছুই তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

এদিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে। আহতাবস্থায় ভর্তি আছেন ৩৫ জন। এদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু, ছয়জন নারী ও আটজন পুরুষ।

দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এরা হলেন- ভাণ্ডারিয়ার মো. ছালাম মোল্লা (৬০), সুমাইয়া (৬), তারেক রহমান (৪৫) , মো. শাহিন মোল্লা (২৫), রহিমা বেগম (৬০) ও আবুল কালাম হাওলাদার (৪৫), চর বোয়ালিয়ার আব্দুল্লাহ (৮), মেহেন্দিগঞ্জের রিপা মনি (২) ও আয়বিন আহমেদ (২২) এবং রাজাপুরের নয়ন (১৬), খুশবু (১৯) ও খাদিজা বেগম (৫৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামক স্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ