চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বাস্তবায়নের দাবিতে আমরণ অনশন
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ চালুর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নেতারা। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বরে আমরণ অনশন শুরু করে তারা।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানী মাসুম তার বক্তব্যে বলেন, ভবন নির্মাণের পরও পূর্ণাঙ্গ রূপে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটে ভুগছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, চিকিৎসক ও জনবলসহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা অপারেশন থিয়েটার চালু রাখতে হবে। এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফীসহ সকল যন্ত্রাংশ সচল করতে হবে। গুরুতর অ্যাকসিডেন্ট ও অন্যান্য রোগীদের ঢাকা কিংবা রাজশাহীতে পাঠাতে হয়। এখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। তাই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছি। বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পানি পর্যন্ত স্পর্শ করব না। আমাদের মৃত্যু হয়ে যাক, পরিবার পরিজন ভেসে যাক, তবুও আমাদের বুকের তাজা রক্ত রাজপথে দেব জনগণের জন্য। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিও জানান বক্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম আহ্বায়ক বাইজিদ জোয়ার্দ্দার, আবু হাশেম ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সদর উপজেলা শাখার কামাল হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে ৫০ শয্যা হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল স্থাপিত হয়। ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। খাতাকলমে ১০০ শয্যায় রূপ নিলেও শুধু খাবার ও ওষুধ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখনো সেই ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে কোনোরকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি।
২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা। উদ্বোধনের ৫ বছর পার হলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয়নি। ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই এ বিশাল চাপ প্রতিনিয়ত সামলাতে হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০ শয্যার জনবলও সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান।
আফজালুল হক/এএএ