বেনাপোলে ভারত ফেরতদের থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে আবারও ভারত ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালে নির্দেশনার একটি পত্র পৌঁচেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের হাতে।
তবে আগে দেশে ফিরে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা সরকারি অর্থায়নে এ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুযোগ পেলেও এবার ব্যক্তিগত খরচে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যাত্রীদের। এতে চিন্তায় পড়েছেন যাত্রীরা। সরকারি তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টাইন চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় এ মুহূর্তে ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছেন। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরিবেশ তৈরি করে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম তারা শুরু করবেন।
ভারত ফেরত যাত্রী আরিফ হোসেন জানান, চিকিৎসা করাতে ভারতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় ১৫শ টাকা করোনা পরীক্ষা করাতে লেগেছে। আবার ফোরার সময় ভারতীয় ১৫শ রুপি লাগছে করোনা রিপোর্টে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তিনিও চান কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা। তবে ফেরার পথে বাস ভাড়া ছাড়া আর টাকা থাকে না। কীভাবে ১৪ দিন ব্যক্তিগত খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন? সরকারিভাবে এ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেবার দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের ভারত প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১৫শ যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করছে। এসব যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ রয়েছে মেডিকেল ভিসার যাত্রী। অন্যান্য ৫ শতাংশ যাত্রী যাচ্ছেন বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায়। ট্যুরিস্ট ভিসা গত বছরের ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে।
এমএএস