কমিটি বিলুপ্তির রাতেই রমেক ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার রাতেই সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান তারেকের কক্ষে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ সময় কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রমেক ক্যাম্পাসের পিন্নু ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।
বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান তারেকের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। এই খবর শুনে সন্ধ্যায় কক্ষ থেকে বাইরে যাই। পরে কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশকে বিষয়টি জানাই। দলের কতিপয় কর্মীর নেতৃত্বে এ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিভক্ত ছিল রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার খবর শুনে একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষের ওপর হামলা করে।
রংপুর মহানগর পুলিশের ধাপ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তিনটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রংপুর মহানগর ও রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা বিলুপ্ত ও রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে। রংপুর মহানগর ও রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই দুটি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২০ জুলাই শফিউর রহমান স্বাধীনকে সভাপতি ও শেখ আসিফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ মে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাত বছর পর মেয়াদোত্তীর্ণ সেই কমিটিই বাতিল করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে রংপুর বিভাগীয় কর্মী সভায় নীলফামারী জেলা কমিটির নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার দুই দিনের মাথায় জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ও মহানগর এবং মেডিকেল কলেজ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণের কারণে বিলুপ্ত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। যদিও গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদে স্থগিতের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি